তপন কুমার দাস, বড়লেখা: মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক জামায়াত কর্মী খুন হয়েছেন। নিহত জামায়াত কর্মীর নাম জালাল উদ্দিন (২৫)। সে বড়লেখা উপজেলার বিওসি কেছরিগুল গ্রামের মতরুব আলীর পুত্র।
এদিকে জালাল উদ্দিন খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলায় হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা। জামায়াতের জেলা আমির আব্দুল মান্নান ও সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ আলী এ হরতালের ঘোষণা দেন। এছাড়া শুক্রবার দোয়া কর্মসুচী ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাতটার দিকে জালাল উদ্দিন উপজেলার দক্ষিনভাগের কাসেমনগর বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লক্ষীছড়া বাজারের পাশে একদল সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক মারপিট সহ কুপিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত দশটার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় জালাল উদ্দিনকে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে ভর্তির জন্য রেফার করেন। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে জুড়ী নামক স্থানে জালাল উদ্দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বর্তমানে লাশটি ময়নাতদেন্তর জন্য মৌলভীবাজার হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্বজন দাবি করেছে, জালাল উদ্দিন ভাগিনাকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি কেছরিগুল যাচ্ছিলেন। লক্ষীছড়া বাজারের পাশে আসা মাত্র হঠাৎ করে স্থানীয় ছাত্রলীগের জনৈক কর্মীর নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ধারাল অস্ত্র দিয়ে জালালের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ভাগিনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জালাল উদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। আজ বুধবার বিকাল ৫টায় গৌড়নগর মাদ্রসা মাঠে তার জানাজা নামাজ হবে।
জামায়েত ইসলামীর উপজেলা সেক্রেটারী ফয়ছল আহমদ মুঠোফোনে নিহত জালাল উদ্দিন দক্ষিনভাগ (উত্তর) ইউনিয়নর শাখার একজন সক্রিয় কর্মী দাবী করে জালাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বুধবার (১৮মার্চ) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত জালাল উদ্দিন একটি মারামারি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস