তপন কুমার দাস, বড়লেখা:
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার হাকালুকি হাওর পাড়ের প্রায় ১৫০০ হেক্টরের বোর ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। গত ৩ দিনের ঝড়বৃষ্টিতে হাওরের বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ খরার পর ধানের শীষ বের হওয়ার সময় বৃষ্টিপাত বোরো চাষীদের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিলেও অতিবৃষ্টি, কাল বৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল যেন কৃষকের স্বপ্নভঙ্গের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাওর পাড়ের হাজার হাজার কৃষকের আশংকা টানা ঝড়বৃষ্টি আর বর্ষণ অব্যাহত থাকলে অকাল বন্যায় বোরো ধান তলিয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৪২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া হাকালুকি হাওর পাড়সহ বড়লেখা উপজেলার সুজানগর, বর্নি, তালিমপুর ও দাসেরবাজার ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলে ২২৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। ধান রোপনের পর দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টিতে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়। ধানের শীষ বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে গত ৩১ মার্চ বৃষ্টিপাত হয়। যাহা বোরো ফসলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু পরপর কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল ফসলের চন্য চরম হুমকির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, শুক্র, শনি ও রোববারের কালবৈশাখী ঝড়ে হাকালুকি হাওরপাড়ের প্রায় ১৫০০ হেক্টরের বোরো ধানের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে হাওড় পাড়ের ১৫০০ হেক্টর বোর ধান পানিতে তলিয়ে প্রায় ১৭ কোটি টাকা মূল্যের ধান ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন কর্মকর্তা দেবল সরকার জানান, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল আগামী ৩/৪ দিন অব্যাহত থাকলে পাকার আগেই কৃষকের লাখ লাখ টাকার বোরো ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস